রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ রাণীনগর আত্রাইয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

 

রহিদুল ইসলাম রাইপ,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ রাণীনগর ও আত্রাই এর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে।

জেলার ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে রাণীনগরের বিস্তৃত নিম্ন এলাকা।
আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়াই আত্রাইয়ের কাসিয়াবাড়ী ব্রিজ দিয়ে পানি প্রবেশ করে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউপির নিম্মাঞ্চল প্লাবিত ও পুকুর ডুবে যাওয়ায় ভেসে গেছে মাছ। এছাড়াও ওই এলাকার আমন চাষী কৃষকদের বীজতলা ডুবে গেছে। এতে করে জনমনে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় উপজেলার নিচু ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা স্তানীয়বাসী।

জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ী স্লুইস গেট দিয়ে পানি প্রবেশ করে আত্রাইয়ের বাঁকা, জামগ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে আসা খাল দিয়ে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউপির শলিয়া মাঠে পানি প্রবেশ করায় বহু পুকুর ডুবে গেছে। এতে করে পুকুরে মাছ চাষিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। অপরদিকে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার সিমান্তবর্তী বেরীবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ছোট যমুনার পানি বাড়তি হলেই রাণীনগর উপজেলার প্রায় ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার শলিয়া গ্রামের পুকুর চাষী জনাব আলি মন্ডল, নুরুজ্জামান জানান, হঠাৎ করে পানি প্রবেশ করায় আমার পুকুরের সব দেশীয় প্রজাতীর মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে আমন ও আউশ ধান রোপন। এছাড়াও আত্রাইয়ের কাশিয়াবাড়ি এবং নান্দাইবাড়ি বেরিবাঁধের ঝুঁকিপূর্ন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফসল ও পুকুরের ক্ষতি হয়েছে। তবে নিম্মাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এতে করে কৃষকদের তেমন একটা ক্ষতি হবে না বলে আমি আশা করছি। তবুও ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।

রাণীনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পি রায় জানান, বন্যার পানি প্রবেশ করে উপজেলার নিম্মাঞ্চলের যে পুকুরগুলো ডুবে মাছ ভেসে গেছে তাদের তালিকা করে তৈরি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য মৎস্য চাষীদের তালিকা করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।

এই বিভাগের আরো খবর